Skip to main content
Outdated Browser

For the best experience using our website, we recommend upgrading your browser to a newer version or switching to a supported browser.

More Information

Poetry

The Assassin

By Tuhin Das
Translated from Bengali by Arunava Sinha
Tuhin Das reflects on a writer’s struggle against censorship in Bangladesh and the power of words and empathy in difficult times. 
Listen to Tuhin Das read "The Assassin" in the original Bengali.
 
 
·

I give you these lines
For you deserve them
Many years later you will come to know
Someone wrote these for you one day.
I write when a dark night
Has gathered over Bangladesh
My writer friend is afraid
A mournful clock by his bed
Rings out suddenly
He wakes up
His eyes bulging in terror
One word escapes his lips, “assassin.”
Yet he is a poet or novelist
He could have spoken of the stars
Which show us the way even in the dark,
He could have spoken of a singing bird
Nesting in a tree by his house
Who’s singing in search of a companion,
Of the moon which showers resplendent beams at night,
Or of the lover who waits somewhere far away.
He didn’t speak of any of these
All he said was, “assassin.”
For he had forsaken the soul, spirits and divine messengers
He had summoned god to the courtroom as the accused
To declare, not all emptiness creates space
I had heard
The sound when he slammed the door
On the face of blind faith
What he wrote injured Islamabad and Istanbul,
He could not visit his ailing mother
He had to go many days with just one meal
In my imagination I heard his pleas
For a slice of bread
Because death was waiting for him
In disguise on the road.
Beasts of prey were sniffing the air
To hunt him down.

Like the saltwater flowing in the ocean
His blood is agitated today
Like the shadow beneath the light, his thoughts
Have cooled today
I felt it too once
For I too was on the run
To escape the fundamentalists’ swords.
I had waited for another summer
Thinking at first of going to the mountains
Or to say good-bye to the sea
Surely they wouldn’t look for me in the mountains or by the sea.
But no, I went into long hibernation
For a succession of days—seven months, in four cities
Like a refugee in my own country.
A singer lived in the room next to mine
I would hear him sing at dawn every day
Across the wall
Like the bird at the tiny prison window
Who perches on the sill to whistle
And brings reminders of days of freedom
The song would make me think
How beautiful the world was.
I felt I had to thank him
But despite these thoughts
I never did meet him
For I was afraid, what if he
Recognized me.
A well-wisher was death-bound then
Lying in bed with cancer
I couldn’t pay a visit
Or even stand for a few minutes in silence
By the grave.

Still we couldn’t stop writing
Neither I nor that terrified writer
In whose nightmares the “assassin” came
To knock at his door.
Splinters of light were embedded
In our hearts like shrapnel
Even if we were to be buried and stoned
We would not be deflected
We would fly the white flag of peace
Not a black pennant eulogizing a false god
We would shout
If our throats were slit we would whisper
Our chain of words would reach the next generation
Even if they had to flow along a river of blood.
And a kingfisher would alight
To sit by our dreams.


© Tuhin Das. By arrangement with the author. Translation © 2017 by Arunava Sinha. All rights reserved.

English Bengali (Original)

I give you these lines
For you deserve them
Many years later you will come to know
Someone wrote these for you one day.
I write when a dark night
Has gathered over Bangladesh
My writer friend is afraid
A mournful clock by his bed
Rings out suddenly
He wakes up
His eyes bulging in terror
One word escapes his lips, “assassin.”
Yet he is a poet or novelist
He could have spoken of the stars
Which show us the way even in the dark,
He could have spoken of a singing bird
Nesting in a tree by his house
Who’s singing in search of a companion,
Of the moon which showers resplendent beams at night,
Or of the lover who waits somewhere far away.
He didn’t speak of any of these
All he said was, “assassin.”
For he had forsaken the soul, spirits and divine messengers
He had summoned god to the courtroom as the accused
To declare, not all emptiness creates space
I had heard
The sound when he slammed the door
On the face of blind faith
What he wrote injured Islamabad and Istanbul,
He could not visit his ailing mother
He had to go many days with just one meal
In my imagination I heard his pleas
For a slice of bread
Because death was waiting for him
In disguise on the road.
Beasts of prey were sniffing the air
To hunt him down.

Like the saltwater flowing in the ocean
His blood is agitated today
Like the shadow beneath the light, his thoughts
Have cooled today
I felt it too once
For I too was on the run
To escape the fundamentalists’ swords.
I had waited for another summer
Thinking at first of going to the mountains
Or to say good-bye to the sea
Surely they wouldn’t look for me in the mountains or by the sea.
But no, I went into long hibernation
For a succession of days—seven months, in four cities
Like a refugee in my own country.
A singer lived in the room next to mine
I would hear him sing at dawn every day
Across the wall
Like the bird at the tiny prison window
Who perches on the sill to whistle
And brings reminders of days of freedom
The song would make me think
How beautiful the world was.
I felt I had to thank him
But despite these thoughts
I never did meet him
For I was afraid, what if he
Recognized me.
A well-wisher was death-bound then
Lying in bed with cancer
I couldn’t pay a visit
Or even stand for a few minutes in silence
By the grave.

Still we couldn’t stop writing
Neither I nor that terrified writer
In whose nightmares the “assassin” came
To knock at his door.
Splinters of light were embedded
In our hearts like shrapnel
Even if we were to be buried and stoned
We would not be deflected
We would fly the white flag of peace
Not a black pennant eulogizing a false god
We would shout
If our throats were slit we would whisper
Our chain of words would reach the next generation
Even if they had to flow along a river of blood.
And a kingfisher would alight
To sit by our dreams.


© Tuhin Das. By arrangement with the author. Translation © 2017 by Arunava Sinha. All rights reserved.

আততায়ী তুহিন দাস

আমি তোমাকে এই পঙক্তিগুলো দিচ্ছি
কেননা এগুলো তোমারই প্রাপ্য।
বহু বছর পরে জানতে পারবে
একদিন কেউ তোমাকে এই কথাগুলো লিখেছিল।
আমি লিখছি যখন বাংলাদেশের ওপরে
কালো রাত্রি ঘনিয়ে এসেছে,
আমার বন্ধু লেখক ভীত,
তার বিছানার পাশে একটি বিষন্ন ঘড়ি
হঠাৎ বেজে ওঠে,
তার ঘুম ভেঙে যায়,
তার চোখ আতঙ্কে বিস্ফারিত,
তার মুখ থেকে একটি শব্দ বের হয়, ‘আততায়ী’,
অথচ সে একজন কবি বা লেখক
সে হয়তো বলতে পারতো নক্ষত্রদের কথা
যারা আমাদের অন্ধকারেও পথ দেখায়,
বলতে পারতো এক গানময় পাখির কথা
যে বাসা বেঁধেছে তার বাড়িসংলগ্ন গাছে
সে এখন গান গেয়ে তার সঙ্গীকে খুঁজছে,
রাত্রিবেলা যে চাঁদ প্রচুর ঐশ্বর্য নিয়ে আলো ঝরায় তার কথা
অথবা প্রেয়সী যে অপেক্ষা করে আছে দূরে কোথাও তার কথা;
সে এসব কিছু বলেনি,
শুধু বলেছিল, ‘আততায়ী’।
কেননা সে পরিত্যাগ করেছিল আত্মা, ভূত ও দেবদূতদের—
ঈশ্বরকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে সে বলেছিল
সব শূন্যতা দিয়ে মহাকাশ হয় না।
অন্ধ বিশ্বাসের মুখের ওপরে
তার দরজা বন্ধ করে দেবার শব্দ
আমি শুনতে পেয়েছিলাম,
তার লেখায় আহত হয়েছিল ইসলামাবাদ ও ইস্তাম্বুল,
সে তার অসুস্থ মাকে দেখতে যেতে পারেনি
তাকে অনেকদিন একবেলা না খেয়ে থাকতে হয়েছে,
একটি রুটির জন্য তার আকুতি
আমি কল্পনায় দেখেছি;
কেননা রাস্তায় ছদ্মবেশে তার জন্য
অপেক্ষা করছিল মৃত্যু,
গন্ধ শুঁকে শুকে তাকে খুঁজে বের
করার চেষ্টা করছিল ধর্মান্ধ শ্বাপদেরা।

সমুদ্রে বহমান লবণাক্ত জলের মতো
তার রক্ত আজ উত্তেজিত,
আলোর ছায়ার মতো তার ভাবনা
আজ শীতল;
আমিও তা একদিন অনুভব করেছি,
কেননা আমাকেও পালিয়ে থাকতে হয়েছিল
মৌলবাদীদের চাপাতি থেকে দূরে;
আরেকটি গ্রীষ্মের জন্য আমি অপেক্ষা করে ছিলাম,
প্রথমে ভেবেছিলাম পাহাড়ে চলে যাবো,
কিংবা যাবো সমুদ্রকে বিদায় জানাতে,
আমাকে নিশ্চয় তারা পাহাড়ে বা সমুদ্রে খুঁজে বেড়াবে না,
না—আমি চলে গেলাম দীর্ঘ এক শীতঘুমে,
দিনের পর দিন—সাতটি মাস, চারটি শহরে
নিজ দেশে রিফিউজির মতো;
আমার রুমের পাশে এক গায়ক থাকতো
আমি প্রতিদিন ভোরবেলা তার গান শুনতাম
দেয়ালের ওপাশ থেকে—
যেভাবে জেলখানার ছোট্ট জানালায় কোন পাখি
এসে বসে শিস বাজায়
আর মুক্ত দিনের কথা মনে করায়,
গান শুনে মনে হতো
পৃথিবী কী সুন্দর!
তাকে একটা ধন্যবাদ দেয়া দরকার।
এ রকমটা ভাবতাম যদিও
কিন্তু তার সঙ্গে আমি দেখা করিনি,
কারণ যদি তার সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে
কেউ আমাকে চিনে ফেলে—এই ভয়ে!
তখন ক্যান্সারে আক্রান্ত মৃত্যুপথযাত্রী
আমার শুভানুধ্যায়ী শয্যাশায়ী,
আমি তাকে দেখতে যেতে পারিনি,
তার কবরের সামনে গিয়ে দাঁড়িয়ে
কয়েক মুহূর্ত চুপ করে থাকতে পারিনি।

তবু লেখা আমরা থামাতে পারিনি,
আমি বা সেই ভীত লেখক
যার দুঃস্বপ্নে ‘আততায়ী’ এসে
তার ঘরের কড়া নাড়ছে,
আলোর স্পিন্টার আমাদের হৃদয়ে
বোমার আঘাতের মতো গেঁথে গেছে,
আমাদের যদি মাটিতে পুঁতে পাথরও মারা হ
তবু আমরা বিচ্যুত হবো না
আমরা শান্তির শাদা পতাকা উড়িয়ে বেড়াব,
কোন মিথ্যে ঈশ্বরের প্রশস্তিমূলক হরফ লেখা কালো পতাকা নয়;
চিৎকার করে কথা বলব,
গলা কাটা হলে ফিসফিস করে বলব
আমাদের উচ্চারিত শব্দমালা
এক রক্তনদী বেয়ে হলেও পৌঁছে যাবে আগামী প্রজন্মে;
একটি মাছরাঙা পাখি এসে বসে থাকবে
আমাদের স্বপ্নের পাশে!

Read Next